জামিল ও কামরুল দুজনেই নূরুল ইসলাম সাহেবের কাছে আসবাবপত্র তৈরি করার কাজ শিখেছে । তারা দু'জনেই ব্যবসায় নিয়োজিত । কাজ করার ক্ষেত্রে জামিল সব সময়ই নূরুল ইসলাম সাহেবকে অনুকরণ করেন । কাজের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লেও জামিল তার সঙ্গে যোগযোগ করেন। এ কারণেই তাকে কোন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়নি । এতে তিনি অনেকের প্রশংসা পান । অন্যদিকে কামরুল তার শেখা বিভিন্ন বিষয়কে অবলম্বন করে নতুন নতুন কাজের ফরমায়েশ নেন নতুন ডিজাইনের আসবাবপত্র তৈরির কারণে প্রায়ই তিনি ফরমায়েশদাতাদের বাহবা পান ।
হাসেম সাহেব একজন কৃষক । তার ৫০ বিঘা জমি আছে । তিনি এ জমিগুলোতে মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন ফসল চাষ করে থাকেন । তার জমিতে চাষাবাদের কাজ করার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাষিরা আসেন । হাসেম সাহেব তার চাষাবাদের মাধ্যমে অনেক খাদ্য উৎপাদন করেন । তার ছেলে সাকিব ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে তার ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক উন্নয়ন ও মেরামতের কাজ করেন । তার অধীনে প্রায় ১০০ জন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করেন ।
সাদিয়া একটি গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে । সে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়েছে । সে গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন জটিল ধাঁধাঁ সমাধান করতে ভালোবাসে । বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতির প্রতিও তার খুব আগ্রহ । সে তার মায়ের সেলাই মেশিনটি নষ্ট হলে মেরামত করে । সবাই তার এসব কাজে খুব খুশি ।